
রংপুরে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জুন ২০২৫, রোববার রংপুরের আরডিআরএস বাংলাদেশ মিলনায়তনে একটি ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মশালার আয়োজন করে। সিজিএস বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় শহরে এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করছে, এবং এরই অংশ হিসেবে এই কর্মশালা রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় দেশের ২২টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন দ্যা ডিসেন্ট এর সম্পাদক ও এএফপি বাংলাদেশের সাবেক ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির।
তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর দেশে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তার পেছনে ভুয়া তথ্য ও গুজব বড় ভূমিকা রেখেছে। এখন ফ্যাক্ট-চেকিং শুধু একটি সাংবাদিকতা কৌশল নয়, এটি হয়ে উঠেছে জনস্বার্থ রক্ষার একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। বাংলাদেশে ধীরে ধীরে একটি শক্তিশালী ফ্যাক্ট-চেকিং কাঠামো গড়ে উঠছে, আর এই জাতীয় প্রশিক্ষণই সেটিকে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি সিজিএসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,তারা দেশজুড়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
তিনি অংশগ্রহণকারীদের ডিজিটাল যাচাইকরণ টুলস, সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই কৌশল, ওপেন সোর্স অনুসন্ধান পদ্ধতিসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক টুলস ও পদ্ধতির ব্যবহার হাতে-কলমে শেখান। কর্মশালায় সিজিএস’র প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্যাক্টচেকিং হাব’ (www.factcheckinghub.com) সম্পর্কে সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার যাচাইকৃত তথ্য একত্রে উপস্থাপন করবে, যা সাংবাদিকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর টুল হিসেবে কাজ করবে বলে অংশগ্রহণকারীরা মত প্রকাশ করেন।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যা সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের বিষয়ে গবেষণা ও মিডিয়া স্টাডি পরিচালনা করে। দ্রুত পরিবর্তনশীল জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো শিক্ষাগত সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে শাসনের মান উন্নত করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করা, দারিদ্র্য নিরসনের জন্য উপলব্ধ সম্পদের দক্ষ ও বিচক্ষণ ব্যবহার করার শর্ত তৈরি করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এবং বর্ধিত গণতন্ত্রীকরণ, অংশগ্রহণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মতামত দেন।
News Courtesy: